ঢাকা ০১:১১ পিএম, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূরবী গুপ্তার গল্প : আবীরের জীবন কথা

  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৫৮ পিএম, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭৯৩

মধ্যেবিত্ত পরিবারের সুদর্শন চটপটে
দূরন্ত বাবু আবীর।
আস্ত আস্তে বড় হয়, বাবা মায়ের আদরে একটু
একটু করে বড় হতে থাকে আবীর। ৩ বছর বয়সে
ভর্তি হয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। বাবা মা আদরের
মানিকের প্রথম হাঁটা, বলা, চলা, স্কুলে ভর্তি হওয়া
সব ছবি তুলে রাখে। বাবা মা শখে আবীরের সব
স্মৃতি আগলে রাখে।
তারপর আবীরের একটা ভাই হয়, নাম রাখা হয় আকাশ। বড় ভাই আকাশকে খুব আদরকরে।
বাবা মায়ের আদর সোহাগে আকাশ বড় হতে তাকে।
আবীর উপরের শ্রেণীতে উঠে।
তাতে বাবা মা অনেক উৎফুল্ল থাকে,এদিকে আবীরের
বাবার ব্যবসায় উন্নতি হতে থাকে।
মধ্যবিত্ত জীবন থেকে ওরা আস্তে আস্তে উচ্চ বিত্তের
বিত্তবান জীবনে চলে। মেধাবী ছাত্র আবীর সবকিছু
তেই মেধার স্বাক্ষর রাখে।
নিজ গুণে শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মা বাবা ও
খুশি ছেলে তার জগৎ তৈরি করতে পারছে।
যাক্ এভাবে চলতে চলতে আবীরের পরিচয়
চারোদিকে ছড়িয়ে পড়ে, বাবা মা জায়নামাজে
বসে ছেলের জন্য দোয়া চায়।
আস্তে আস্তে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে ছেলে। বাবা মায়ের
আনন্দ দিন কাটে। এইসময় থেকে শুরু হয় আবীরের
জীবনে নিত্য নতুন বন্ধুর আগমন। ছেলেটা সরল
বিশ্বাসে ওদের বন্ধুত্ব মেনে নেয়। ওদের জন্য
আবীর অনেক কিছু করে।কে কি খেতে পছন্দ করে,
কাকে কি গিফট দিলে ভালো হয় তাও করে।বাসায় এসে মায়ের সাথে গল্প করে, মা বাবা আনন্দিত হয়।
একদিন ঘটল অন্যরকম ঘটনা।

অষ্টম শ্রেণির বছরের শেষ দিকে
আবীরের বন্ধুরা মিলে ঠিক করে
স্কুল ছুটির পর কয়েকজন মিলে আনন্দ করবে সেখানে আবীরের থাকতে হবে।আবীরের মা অনুমতি
দেয় অল্প সময়ের জন্য যাক এভাবে তাদের গল্প
আড্ডা জমে উঠে। এখন সপ্তাহে ২/ ৩দিন জমে তাদের আড্ডা,আবীরের সব বন্ধুরা সিগারেট খায়।
ও সেটা জানে। একদিন জোর করে আবীরকে
একটা সিগারেট খেতে দেয়।বন্ধুদের জোড়াজুড়ি
সে আর না করতে পারে নাই।আবীরও খায়।এভাবে
কয়েক সপ্তাহ চলার পর। আবীর বলে নারে আমি আর খাব না তোরা খাঁ।কিন্তু পরদিন আবীর অসুস্থ
বোধ করতে থাকে, তখনো সে বুঝেনি সে কি খাচ্ছে।
তখন সে বন্ধুদের জানায়, বন্ধুরা বলে আবার খেয়ে
দেখ কেমন লাগে।এখন আর একটা নয় এক প্যাকেট
দিয়ে দেয়।
৮ম শ্রেণীর ছাত্র বই পোকা আবীর জানতে পারল না
সে নেশার চক্রে পড়েছে। এভাবে দিন যায় মাস যায়
আবীরের ব্যাবসায়ী বাবা জানতে ও পারে না তার
ছেলের জীবন কোন পথে যাচ্ছে। তার সোনার টুকরো
ছেলের জীবন কয়লা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। নবম শ্রেণীতে আবীর কমার্স নিয়ে পড়বে জানায় বাবাকে।
পারিবারিক সিন্ধান্ত হয় কমার্স ই ভালো
শেষ পর্যন্ত তাকে ব্যাবসার হাল ধরতে হবে যাক্
এভাবে এস,এস,সি তারপর এইচ এস সি শেষ করে।
ইংরেজি মাধ্যমে সে টপ রেজাল্ট করে। এবার সে
বায়না ধরে সে বিদেশে পড়তে যাবে।আবীরের বাবা
দিতে চায় না। বিদেশ গেলে ছেলে যদি না আসে তাই
ভদ্রলোক ছেলেকে পাশের দেশ ভারতে পড়তে পাঠায়।
ছেলেকে বলে পড়াশোনা শেষ করেই ব্যাবসায় মনোযোগ দিতে হবে। আবীর সম্মত হয়। চলে যায় ভারতে।ভারতে যাবার পর মা, বাবা ভাই হীন পরিবেশে এক সময় আবীর নেশায় আসক্ত হয়ে যায়।
রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে, প্রথম দুই সেমিস্টারে সে
ফেল করে।পরবর্তী আরো দুই সেমিস্টারে ফেল করার
পর আবীরের ছাত্রত্ব বাতিল হয়। সে তখন ফিরে আসে বাড়িতে, ওর মা ওকে বুঝিয়ে বলে ব্যাবসায়
মনোযোগ দাও।ক্যাশের দায়িত্ব পায় আবীর,
আস্ত আস্তে আবীরের বাবা বুঝতে পারে ছেলে আর
আগের ছেলে নেই।আবীরকে ক্যাশ থেকে সরিয়ে
দেওয়া হয়।কিন্তু আবীরের এখন প্রচুর টাকা দরকার।
কোথায় পাবে টাকা?

দুই দিন চুপচাপ থাকে। তারপর ভাবে
মাকে বলব।তাই আবীর মায়ের কাছে টাকা চায়।
মাও দেয়, পর পর তিন দিন দেওয়ার পর আবীরের
মমতাময়ী মা ঘটনাটা তার বাবাকে জানায়।
পরদিন সকালে আবীরের বাবা ছেলের রুমে যায়।
আদর করে জানতে চায় তুমি টাকা কি করো?
ব্যাক্তিগত জীবনে আবীরের বাবা ছিলেন চুপচাপ।
বাবার সামনে আবীর কোন শব্দ করে না। চুপ দাড়িয়ে থাকে।বাবা ছেলেকে একটা কথা বলে আগে
বলো টাকা কেন লাগবে।এই কথা বলে উনি বেরিয়ে যান। ঐদিন আবীর মায়ের সাথে চেচিয়ে কথা বলে।
মা বলে আমার কাছে কোন টাকা নাই।
আবীর রান্নাঘর থেকে বঠি নিয়ে পিছন থেকে মায়ের
মাথায় সজোরে আঘাত করে, মা সাথে সাথে মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে। আবীরদের বাড়িটা ছিল ডুপ্লেক্স।
ছোট ভাই নীচে আসে দিগবিদিক হারিয়ে আবীর
মাকে কোলে তোলে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে
যায়। ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। ডাঃ জানায় আবীরের মা আর নেই। আবীরের বাবা বোবা হয়ে
যায়। আত্বীয় স্বজন ভিড় করে। পুলিশ আসে।
আবীর সেচ্ছায় ধরা দেয়। একসময় যে ছেলে ছিল
মা অন্ত প্রাণ। আজ সে মায়ের খুনী। আবীরের বাবা
উকিল নিয়োগ করে। এজলাসে দাঁড়িয়ে আবীর
সব ঘটনা খুলে বলে।তার মাদকাসক্ত হওয়র পিছনে
কারা ছিল। আবীরের ফাঁসির আদেশ হয়। আবীরের
বাবা উচ্চ আদালতে যায়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রাণ ভিক্ষা চায়। আবীরের যাবৎ জীবন শাস্তি হয়।
জেলখানায় আবীর হয়ে যায় অন্য মানুষ। যে হাতে
মাকে খুন করে সেই হাতে আর কোন দিন নেশা
ধরেনি। ওখানে মালির কাজ পায়, সেখানে মায়ের
পছন্দের ফুলগাছ গুলোর খুব যত্ন করে। দিন রাত
মায়ের জন্য নামাজ পড়ে।এভাবেই চলে আবীর নামক মেধাবী ছাত্রের জীবন।

 

 

মেসেজ _____ আজকাল মায়ের ভূমিকা আরো
গভীর হতে হবে। ছেলের বন্ধু কারা সে খবর মাকেই
রাখতে হবে।ঘর সামলানো নয় সন্তান সামলানো
জরুরি। তবেই সন্তানকে সূখী দেখতে পাবেন
বর্তমান প্রেক্ষাপটে।

পূরবী গুপ্তার গল্প : আবীরের জীবন কথা

আপডেট সময় : ১০:১৯:৫৮ পিএম, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

মধ্যেবিত্ত পরিবারের সুদর্শন চটপটে
দূরন্ত বাবু আবীর।
আস্ত আস্তে বড় হয়, বাবা মায়ের আদরে একটু
একটু করে বড় হতে থাকে আবীর। ৩ বছর বয়সে
ভর্তি হয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। বাবা মা আদরের
মানিকের প্রথম হাঁটা, বলা, চলা, স্কুলে ভর্তি হওয়া
সব ছবি তুলে রাখে। বাবা মা শখে আবীরের সব
স্মৃতি আগলে রাখে।
তারপর আবীরের একটা ভাই হয়, নাম রাখা হয় আকাশ। বড় ভাই আকাশকে খুব আদরকরে।
বাবা মায়ের আদর সোহাগে আকাশ বড় হতে তাকে।
আবীর উপরের শ্রেণীতে উঠে।
তাতে বাবা মা অনেক উৎফুল্ল থাকে,এদিকে আবীরের
বাবার ব্যবসায় উন্নতি হতে থাকে।
মধ্যবিত্ত জীবন থেকে ওরা আস্তে আস্তে উচ্চ বিত্তের
বিত্তবান জীবনে চলে। মেধাবী ছাত্র আবীর সবকিছু
তেই মেধার স্বাক্ষর রাখে।
নিজ গুণে শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মা বাবা ও
খুশি ছেলে তার জগৎ তৈরি করতে পারছে।
যাক্ এভাবে চলতে চলতে আবীরের পরিচয়
চারোদিকে ছড়িয়ে পড়ে, বাবা মা জায়নামাজে
বসে ছেলের জন্য দোয়া চায়।
আস্তে আস্তে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে ছেলে। বাবা মায়ের
আনন্দ দিন কাটে। এইসময় থেকে শুরু হয় আবীরের
জীবনে নিত্য নতুন বন্ধুর আগমন। ছেলেটা সরল
বিশ্বাসে ওদের বন্ধুত্ব মেনে নেয়। ওদের জন্য
আবীর অনেক কিছু করে।কে কি খেতে পছন্দ করে,
কাকে কি গিফট দিলে ভালো হয় তাও করে।বাসায় এসে মায়ের সাথে গল্প করে, মা বাবা আনন্দিত হয়।
একদিন ঘটল অন্যরকম ঘটনা।

অষ্টম শ্রেণির বছরের শেষ দিকে
আবীরের বন্ধুরা মিলে ঠিক করে
স্কুল ছুটির পর কয়েকজন মিলে আনন্দ করবে সেখানে আবীরের থাকতে হবে।আবীরের মা অনুমতি
দেয় অল্প সময়ের জন্য যাক এভাবে তাদের গল্প
আড্ডা জমে উঠে। এখন সপ্তাহে ২/ ৩দিন জমে তাদের আড্ডা,আবীরের সব বন্ধুরা সিগারেট খায়।
ও সেটা জানে। একদিন জোর করে আবীরকে
একটা সিগারেট খেতে দেয়।বন্ধুদের জোড়াজুড়ি
সে আর না করতে পারে নাই।আবীরও খায়।এভাবে
কয়েক সপ্তাহ চলার পর। আবীর বলে নারে আমি আর খাব না তোরা খাঁ।কিন্তু পরদিন আবীর অসুস্থ
বোধ করতে থাকে, তখনো সে বুঝেনি সে কি খাচ্ছে।
তখন সে বন্ধুদের জানায়, বন্ধুরা বলে আবার খেয়ে
দেখ কেমন লাগে।এখন আর একটা নয় এক প্যাকেট
দিয়ে দেয়।
৮ম শ্রেণীর ছাত্র বই পোকা আবীর জানতে পারল না
সে নেশার চক্রে পড়েছে। এভাবে দিন যায় মাস যায়
আবীরের ব্যাবসায়ী বাবা জানতে ও পারে না তার
ছেলের জীবন কোন পথে যাচ্ছে। তার সোনার টুকরো
ছেলের জীবন কয়লা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। নবম শ্রেণীতে আবীর কমার্স নিয়ে পড়বে জানায় বাবাকে।
পারিবারিক সিন্ধান্ত হয় কমার্স ই ভালো
শেষ পর্যন্ত তাকে ব্যাবসার হাল ধরতে হবে যাক্
এভাবে এস,এস,সি তারপর এইচ এস সি শেষ করে।
ইংরেজি মাধ্যমে সে টপ রেজাল্ট করে। এবার সে
বায়না ধরে সে বিদেশে পড়তে যাবে।আবীরের বাবা
দিতে চায় না। বিদেশ গেলে ছেলে যদি না আসে তাই
ভদ্রলোক ছেলেকে পাশের দেশ ভারতে পড়তে পাঠায়।
ছেলেকে বলে পড়াশোনা শেষ করেই ব্যাবসায় মনোযোগ দিতে হবে। আবীর সম্মত হয়। চলে যায় ভারতে।ভারতে যাবার পর মা, বাবা ভাই হীন পরিবেশে এক সময় আবীর নেশায় আসক্ত হয়ে যায়।
রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে, প্রথম দুই সেমিস্টারে সে
ফেল করে।পরবর্তী আরো দুই সেমিস্টারে ফেল করার
পর আবীরের ছাত্রত্ব বাতিল হয়। সে তখন ফিরে আসে বাড়িতে, ওর মা ওকে বুঝিয়ে বলে ব্যাবসায়
মনোযোগ দাও।ক্যাশের দায়িত্ব পায় আবীর,
আস্ত আস্তে আবীরের বাবা বুঝতে পারে ছেলে আর
আগের ছেলে নেই।আবীরকে ক্যাশ থেকে সরিয়ে
দেওয়া হয়।কিন্তু আবীরের এখন প্রচুর টাকা দরকার।
কোথায় পাবে টাকা?

দুই দিন চুপচাপ থাকে। তারপর ভাবে
মাকে বলব।তাই আবীর মায়ের কাছে টাকা চায়।
মাও দেয়, পর পর তিন দিন দেওয়ার পর আবীরের
মমতাময়ী মা ঘটনাটা তার বাবাকে জানায়।
পরদিন সকালে আবীরের বাবা ছেলের রুমে যায়।
আদর করে জানতে চায় তুমি টাকা কি করো?
ব্যাক্তিগত জীবনে আবীরের বাবা ছিলেন চুপচাপ।
বাবার সামনে আবীর কোন শব্দ করে না। চুপ দাড়িয়ে থাকে।বাবা ছেলেকে একটা কথা বলে আগে
বলো টাকা কেন লাগবে।এই কথা বলে উনি বেরিয়ে যান। ঐদিন আবীর মায়ের সাথে চেচিয়ে কথা বলে।
মা বলে আমার কাছে কোন টাকা নাই।
আবীর রান্নাঘর থেকে বঠি নিয়ে পিছন থেকে মায়ের
মাথায় সজোরে আঘাত করে, মা সাথে সাথে মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে। আবীরদের বাড়িটা ছিল ডুপ্লেক্স।
ছোট ভাই নীচে আসে দিগবিদিক হারিয়ে আবীর
মাকে কোলে তোলে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে
যায়। ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায়। ডাঃ জানায় আবীরের মা আর নেই। আবীরের বাবা বোবা হয়ে
যায়। আত্বীয় স্বজন ভিড় করে। পুলিশ আসে।
আবীর সেচ্ছায় ধরা দেয়। একসময় যে ছেলে ছিল
মা অন্ত প্রাণ। আজ সে মায়ের খুনী। আবীরের বাবা
উকিল নিয়োগ করে। এজলাসে দাঁড়িয়ে আবীর
সব ঘটনা খুলে বলে।তার মাদকাসক্ত হওয়র পিছনে
কারা ছিল। আবীরের ফাঁসির আদেশ হয়। আবীরের
বাবা উচ্চ আদালতে যায়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রাণ ভিক্ষা চায়। আবীরের যাবৎ জীবন শাস্তি হয়।
জেলখানায় আবীর হয়ে যায় অন্য মানুষ। যে হাতে
মাকে খুন করে সেই হাতে আর কোন দিন নেশা
ধরেনি। ওখানে মালির কাজ পায়, সেখানে মায়ের
পছন্দের ফুলগাছ গুলোর খুব যত্ন করে। দিন রাত
মায়ের জন্য নামাজ পড়ে।এভাবেই চলে আবীর নামক মেধাবী ছাত্রের জীবন।

 

 

মেসেজ _____ আজকাল মায়ের ভূমিকা আরো
গভীর হতে হবে। ছেলের বন্ধু কারা সে খবর মাকেই
রাখতে হবে।ঘর সামলানো নয় সন্তান সামলানো
জরুরি। তবেই সন্তানকে সূখী দেখতে পাবেন
বর্তমান প্রেক্ষাপটে।