
আজকাল অবজ্ঞার দ্রাঘিমারেখা ক্রমশ দীর্ঘ হয়।
তোমাতে নিবেদিত হতে না পারা আমার নীলাভ বারিধারা।
তুমি নামক সত্তাকে ভুলতে না পারার ক্ষত পোড়ায় অবিরত।
না হলো মিশে থাকা- না হলো বেঁধে রাখা!
এই যে আকাঙ্খা – এখন যে তা সুখ বিষাদী ব্যামো।
অথচ আমরা একসাথে অনেকদিন অনেক পথ হেঁটেছি।
উৎসব পার্বণের দিনে প্রাণ খুলে হেসেছি।
সমৃদ্ধির সোপান বেয়ে প্রফুল্ল চিত্তে ঝর্ণা ধারা হয়েছি!
বিজয়ের প্লাবনে গলা ছেড়ে গেয়েছি জীবনের গান।
শিউলি ঝরার দিনে খানিক অভিমানে গাল ফুলিয়েছি।
তবুও তোমাকে ছেড়ে তো যাইনি।
হঠাৎ দাবানল ছড়িয়ে পড়লো কাশবনে।
শুভ্রতা উপেক্ষিত হলো-
জয় হলো দম্ভ ভরা হাসির।
উবে গেলো শ্বাশত মমত্ববোধ।
প্রতিজ্ঞা ও প্রত্যয়ের ক্যানভাসে আঁকা হলো কদাচার আলপনা।
তাও স্বাদরে করেছি সম্ভাষণ!
তুমি যে সাতজনমে ভাবনার জমিনে পরম আরাধ্য।
ঠিক জানিনা- কেন নিরাক পড়া কোন পদব্রজে নির্লজ্জ- বেহায়া হই।
স্মৃতি হাতড়িয়ে ফিরি নিদ্রাহীন নিশুতিরাতে –
এ-তো তাড়না কেন? তোমার মাতোয়ারা মিলন্মুখে।
অথচ আমাকে ছাড়া বেশ আছো।
আজকাল কত প্রিয়জন! কত শুভাকাঙ্ক্ষী তোমার অফিসে, ডুপ্লেক্সে।
দৃষ্টি ফিরিয়ে নেই; এ আমার যন্ত্রণা ? নাকি সুখানুভব!
বুঝতে পারিনা।
ভারী চশমার ফাঁক গলে মায়া ঠিকরে পড়ে –
একটু ছুঁয়ে দিতে ভীষণ ইচ্ছে করে যে।
মুগ্ধতার সফেদ পালকে সুখের যে বীজ বপন করেছিলাম-
তা আজ শাখা প্রশাখায় পত্র পল্লবে রীতিমতো মহীরুহ।
যার ছায়াতলে ঘর বাঁধে কত-শত পরিযায়ী।
অথচ আমি উপেক্ষিত!
আমার জন্য শ্মশানের নীরবতা।