আমি মশাই এক অনন্যা,সর্ব সাধারণ অনন্যা
বিশেষ তালিকায় শুধু চোখ বুলিয়েই গেলাম
তবে এ খাতায় ও স্বাক্ষর রয়েছে
রূপের না রে,তাজ্জব গুণের চরিত্র ধারিণী
উলকো কেশে মেতে বেড়াই এই আবার খোঁপার বাসা বাঁধে
কাজল রেখার মায়ায় ফেলতে জানি না বাপু
চোখে আমার তীক্ষ্ণ বিষাদের ঝিঝি ঝলকায়
ঠোঁটে আমার মিষ্টিমুখ ফোটে না
শরীরের মেদে দোল খাই গো
নিঁখুত দেহে সাজতে দেয় না মন
মন কহে , "কিরে আরামমাখা ,ভেলকি?"
অতোশতো রঙ্গ বাজারের অলংকারে বাঁধি না ঘর
রূপোর দুটো দুল সাথে কাচের চুরিতে আমার শিঙ্গার
সুতি শাড়িতে কমরের মেদ টা খোলা রেখে হাঁটার অভ্যাস টা,
আরাম পিয়াশু নবত্ব পিছে ফেলে ঘুরে ফিরে আপন মনে।
এ কন্যা এক ভবঘুরে,লোকে তারে ভবের পাগল ডাকে ,
সেথায়ও নিজেরে নিজে উন্মাদের বেশেই ঘোরে।
কখনো বা মাতৃত্বের চাদরে গাঁ ভেজাই ,
কখনো বা অবুঝ খুকির মতো কোলে ওঠার বায়না এঁটে বসি,
বাহ্যিক সুন্দরের লীলাখেলায় যতোটা পরিপোক্ত,
অন্তরালে ততোই বিভৎস বাচ্চা ভুতের ছোটাছুটি।
মায়ার ফেরিওয়ালা,
মায়া করে তবে মায়া খোঁজলে পায় ধিক্কার,
পরম যত্নের হাতে ওঠে আসে হিসেব নিকেশ ,স্বল্পমূল্যে,
রঙ বেরঙ্গের রঙে আঁকতে চেয়েছিলাম নিজেরে
সারা অঙ্গ জুড়ে কালো-বেগুনি রঙ্গের ছাপ।
লোকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা ,
বদলের সময়বেলা এলেই হাজারো অজুহাত-বিচারমঞ্চনা।
দালানকোঠার বদ্ধ দেয়ালে শ্বাস নিভু নিভু হয়ে আসে
একখান খড়কুটো বাঁধতে পারলে মরেও যেন শান্তি।
হাওয়াই গাড়িতে বসার সাঁধ নাই,রিকশার ঝাঁকুনি মজার
এ বিধানে সুখ প্রেমী বিক্রেতা হবার ইচ্ছে
বেতন বিহীন ভালোবাসা বিলাবো,বড্ড অভাব যে
বিচ্ছিরি এক উল্কা তারা তুই
লোকের বিশ্রামঘর তুই,তোর খড়কুটোতে যেতে আসে না,
তুই ক্ষণিকের রঙ্গমঞ্চের কাঠপুতুল,
ধুলিকণা সমান তোর অস্তিত্বের সত্য,
বোকা মেয়ে,চেয়ে বসে বাম পাজরের হাড়ের আলিঙ্গন।
হায়রে কাঠপুতুল,তুই "অনন্যা" না ,
তোর রঙ্গের রেশ কেটে যাবে,
তোর বক্ষজুড়ে পাষাণ মশাই রক্তের বন্যা ভরবে।
সম্পাদক ঃ নূরুল ইসলাম নুরচান
মোবাইল ঃ ০১৭১৫-৩৬৩৩১৬
ইমেইল ঃ somoyerkheya@gmail.com
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সময়ের খেয়া