
আনন্দ-নিরানন্দ
লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে ফুলকি ছড়াচ্ছে,
নির্মমতা,নিষ্ঠুরতা,পাশবিকতা,
দাম্ভিকতা, রূঢ়তা!
গৃহে ঝিলিমিলি আনন্দঘন রঙ্গিণী উৎসবাদি,
হে রূপকধারী, হে মনুষ্যালয়, হে নিষ্ঠুর বাসী!
প্রতিঘর, প্রতিজন,প্রতিদল ঝরাচ্ছে শোণিতধারা,
কিকরে,কিভাবে তুমি করছ আনন্দ,তাকে ছেড়ে?
সহমর্মিতা,সহানুভূতি,অনুুভুতি,
সহযোগিতা,পরোপকারিতা,
ভদ্রতা,নম্রতা,সহিষ্ণুতা,কৃতজ্ঞতা
কালের অতলগর্ভে অনবায়নযোগ্য জ্বালানীর মতো
নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে ক্ষণেক্ষণে, নিরন্তরে!
হে মুমিন,হে উম্মত,সত্যের নিশানধারক,
শ্বাসে,নিঃশ্বাসে,চিন্তা-চেতনা,
কর্মে-বিশ্বাসে,
রসাতলে মানবসত্তা, আন্তরিকতা, আদবকেতা,
চরম উদ্যত অশালীনতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, আপনাবোধ!
আক্রান্ত হচ্ছে কলপ,পংকিলতায় পচন ধরছে মম মনোমন্দির!
নির্বাসনে-
সুবচন,চিত্তরঞ্জন, মনোরজ্ঞন,মঙ্গলাচরণ!
সুভাষী জীবনাচরণ বড়ই অসহায়,হায় রে হায়!
[সমগ্র মনুষ্যজাতির নিরবতায় হতাশ হ্নদয়ে চরম নির্যাতিত ফিলিস্তিনবাসীদের উদ্দ্যেশে]।