
“স্যার,ভালো আছেন?”
বিনয়াবনত শ্রদ্ধামাখা হাত দুটোর হঠাৎ স্পর্শে শিক্ষক মহাশয়ের প্রশান্ত বিহ্বল দৃষ্টি!
“আরে…আরে…ঠিক আছে…ঠিক আছে, আপনি…মানে তুমি…মানে তুই মৃন্ময়ী না?”
“হ্যাঁ স্যার,আমি মৃন্ময়ী।
আপনার প্রাক্তন ছাত্রী। স্যার,মনে আছে আপনার?আপনি বলতেন,আমার মাটির মেয়ে মৃন্ময়ী!
আমি আপনার মাটির মেয়ে স্যার।”
স্যার লক্ষ্য করলেন,মৃন্ময়ীর কপালে উদীয়মান সূর্যের লাল টিপ! মনে মনে ভাবলেন,মেয়েটার কিছুদিন আগেই হয়তো বিয়ে হয়েছে।
জিজ্ঞেস করলেন,”কি রে,তোর কবে বিয়ে হলো?”
“মাস খানিক আগে স্যার।”
“ও আচ্ছা,খুবই ভালো। কোথায় বিয়ে দিয়েছেন রে তোর বাবা?”
মৃন্ময়ী মাথা নিচু করে!
আমতা আমতা করে বলে,”আজ্ঞে স্যার,বাবা বিয়ে দেন নি।মানে বাড়ির অমতে …
লাভ ম্যারেজ স্যার।”
এবার স্যারের মাথা নিচু হলো।বেশ কিছুক্ষণ তিনি চুপ করে থেকে তারপর শুকনো মুখ নিয়ে কৃত্রিম হাসি হেসে কিছুটা অন্যমনষ্কভাবে বললেন,”এই যা! আমার দেরি হয়ে গেছে রে!”
এই বলে তিনি হন্ হন্ করে এগিয়ে চললেন।আর পেছন ফিরে তাকালেন না।
মৃন্ময়ী ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো স্যারের চলার পথের দিকে তাকিয়ে। সারা শরীর জুড়ে যেন একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল তার!
ফোঁটা ফোঁটা করে চোখ দুটো দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো!
কাঁপা কাঁপা হাতদুটো যেন আরও একবার তার স্যারের পা দুটো ধরে কিছু বলতে চাইল।