
আমি নহে কোনো আবৃত্তি কারক
নহে কোনো কবি,
ছন্দের ভাষায় কিছু কথা
জনস্বার্থে লিখি।
স্বাধীন ভূমিতে পরাধীন জাতি
যখন আমি দেখি,
নজরুলের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে
তখনেই কিছু কথা লিখি।
রক্তে রঞ্জিত স্বাধীন ভূমি
ভিনদেশীদের চলাচল,
স্বদেশী গাদ্দার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
দুখিনী মায়ের চোখে জ্বল।
আমি তো নহে বির কাপুরুষ
বাকশালীদের ভয়ে ভীত,
বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান আমি
কারো কাছে করিনা মাথা নত।
স্বাধীন ভূমিতে ভিনদেশীদের পদচারণ
কলুষিত স্বাধীনতার সম্মান,
বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ জাতি
গাইছে সবাই পরাজয়ের গান।
স্তব্ধ হয়ে চারদিকে জনগণ
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে,
বুলেটের ভাষায় কথা বলে জালিম
রাজপথে রক্ত ঝরছে।
প্রিয়জন আছে যারা অনুরোধ বাণীতে
বলছে আমাকে ডেকে,
আমার কলম যেনো থাকে স্তব্ধ
বাকশালীদের বিরুদ্ধে।
ওরা জানেনা শহীদি তামান্না
হৃদয়ে গেঁথেছি আমি,
নজরুল আমার অনুপ্রেরণার নায়ক
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদাই লিখি।
আমার প্রতিজ্ঞা কলমের ভাষায়
জালিমের জুলুমকে রুখবো,
জীবন বাজি রেখে আপোষহীন লেখক হয়ে
বাংলা মায়ের বাঁচাবো।
যেখানেই থাকবে অন্যায় অনাচার
সেখানেই আমার কলম রুখবে,
বঞ্চিত মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে
জালিমদের প্রতিহত করবে।
আমার শপথ লিখবো অবিরল
দুর্নীতিকে করবো উন্মোচন,
যতদিন দেহে থাকিবে প্রাণ
রুখে যাবো জালিমের শোষণ।
শাল্লা, সুনামগঞ্জ।