ঢাকা ০১:০৯ পিএম, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাহমুদ দারবিশের দীর্ঘ কবিতা- ‘গাজার লাগি নীরবতা’ | ভূমিকা ও ভাষান্তর : জহির হাসান

  • আপডেট সময় : ১০:১৩:৪০ পিএম, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
  • ৫২২

মাহমুদ দারবিশ ১৩ মার্চ, ১৯৪১ সালে ফিলিস্তিনের আল বিরওয়েহ শহরে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়, তার গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। তার পরিবার লেবাননে পালিয়ে যায়। পরের বছর তারা ফিরে আসেন। গোপনে স্বদেশে পুনরায় প্রবেশ করেন।একজন যুবক হিসেবে, দারবিশ তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রকাশ্যে কবিতা পড়ার জন্য গৃহবন্দি ও কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাকা রাজনৈতিক দলে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি রাশিয়া চলে যান। যেখানে তিনি এক বছরের জন্য মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।পরে কায়রোতে চলে যান। তিনি ২৬ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। থাকেন বৈরুত ও প্যারিসে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। তারপর তিনি পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বসতি স্থাপন করেন।

ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বিশিষ্ট কবি হিসেবে বিবেচিত, দারবিশ তার প্রথম কবিতার সংকলন, জলপাই পাতা(১৯৬৪) প্রকাশ করেছিলেন যখন তার বয়স মাত্র বাইশ।তারপর থেকে দারবিশ কবিতার বই এবং গদ্য সংকলন মিলিয়ে প্রায় ত্রিশটি বই প্রকাশ করেছেন, যা বাইশটিরও বেশি বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।এক কথায় মাহমুদ দারবিশকে বলা যায় ফিলিস্তিনি জনগণের অপরিহার্য শ্বাস। তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি। সারা বিশ্বের পাঠক নন্দিত এক কবি  মাহমুদ দারবিশ, একই সাথে যার কবিতায় নন্দন, গণচিন্তা ও মানবমনের গভীর ভাববৈচিত্র্য শৈল্পিক দক্ষতায় নিপুণ হয়ে ধরা পড়েছে।দারবিশ ৯আগস্ট, ২০০৮-এ হার্ট সার্জারির জটিলতায় হিউস্টনে ইন্তেকাল করেন। বর্তমান কবিতাটি কবির ’Silence for Gaza’  Sinan Antoon ও Adib S. Kawar-এর করা  ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় করা। গাজা নিয়ে দারবিশের এ কবিতায় তার ভাবচিন্তা বর্তমানে চলমান আগ্রাসন ও গণহত্যা, পশ্চিমাদের ফিলিস্তিন নিয়ে অতীত-বর্তমান যে রাজনৈতিক চাল তাও উঠে এসেছে।

সংগৃহীত।

মাহমুদ দারবিশের দীর্ঘ কবিতা- ‘গাজার লাগি নীরবতা’ | ভূমিকা ও ভাষান্তর : জহির হাসান

আপডেট সময় : ১০:১৩:৪০ পিএম, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

মাহমুদ দারবিশ ১৩ মার্চ, ১৯৪১ সালে ফিলিস্তিনের আল বিরওয়েহ শহরে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়, তার গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। তার পরিবার লেবাননে পালিয়ে যায়। পরের বছর তারা ফিরে আসেন। গোপনে স্বদেশে পুনরায় প্রবেশ করেন।একজন যুবক হিসেবে, দারবিশ তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ও প্রকাশ্যে কবিতা পড়ার জন্য গৃহবন্দি ও কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাকা রাজনৈতিক দলে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি রাশিয়া চলে যান। যেখানে তিনি এক বছরের জন্য মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।পরে কায়রোতে চলে যান। তিনি ২৬ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। থাকেন বৈরুত ও প্যারিসে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। তারপর তিনি পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বসতি স্থাপন করেন।

ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বিশিষ্ট কবি হিসেবে বিবেচিত, দারবিশ তার প্রথম কবিতার সংকলন, জলপাই পাতা(১৯৬৪) প্রকাশ করেছিলেন যখন তার বয়স মাত্র বাইশ।তারপর থেকে দারবিশ কবিতার বই এবং গদ্য সংকলন মিলিয়ে প্রায় ত্রিশটি বই প্রকাশ করেছেন, যা বাইশটিরও বেশি বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।এক কথায় মাহমুদ দারবিশকে বলা যায় ফিলিস্তিনি জনগণের অপরিহার্য শ্বাস। তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি। সারা বিশ্বের পাঠক নন্দিত এক কবি  মাহমুদ দারবিশ, একই সাথে যার কবিতায় নন্দন, গণচিন্তা ও মানবমনের গভীর ভাববৈচিত্র্য শৈল্পিক দক্ষতায় নিপুণ হয়ে ধরা পড়েছে।দারবিশ ৯আগস্ট, ২০০৮-এ হার্ট সার্জারির জটিলতায় হিউস্টনে ইন্তেকাল করেন। বর্তমান কবিতাটি কবির ’Silence for Gaza’  Sinan Antoon ও Adib S. Kawar-এর করা  ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় করা। গাজা নিয়ে দারবিশের এ কবিতায় তার ভাবচিন্তা বর্তমানে চলমান আগ্রাসন ও গণহত্যা, পশ্চিমাদের ফিলিস্তিন নিয়ে অতীত-বর্তমান যে রাজনৈতিক চাল তাও উঠে এসেছে।

সংগৃহীত।