ঢাকা ০১:০২ পিএম, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বই পর্যালোচনা

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৩১ এএম, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
  • ৬১৯

বই পর্যালোচনা
বই : হায়াতের দিন ফুরোলে
বিষয়: ইসলামী সাহিত্য

এটা আমার আরিফ আজাদ ভাই এর পড়া নবম বই. এটা উনার “জীবনের জাগরণ ” সিরিজ এর অন্তর্ভুক্ত একটা বই যার পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৮৪ টি. এর মাঝে রয়েছে ১৭ টি গল্প, এগুলো ঠিক গল্প বলা হয় কি না আমি জানি না, তবে আমিই গল্পই বলি. প্রত্যেকটা গল্পেই লেখক একাধিক মেসেজ দিতে চেয়েছেন পাঠকদের. উনার গতানুগতিক যে লেখার ধরন সেটা এখানেও বিদ্যমান. বইটার ঘটনাগুলো এমন করে লেখা হয়েছে যে পাঠক এর মনে হবে লেখাটা একান্তই তাকেই লেখা হয়েছে. ইসলাম যে সহজ সরল সুন্দর এবং বৈষম্যহীন একটা ধর্ম এটা উনার লেখাতে মাধ্যমে সুন্দর প্রকাশ পেয়েছে.বই এর প্রথমেই লেখক যে গল্প বা প্রশ্নোত্তর নিয়ে এসেছেন সেটা আপনাদের অনেকের প্রিয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাস এর একটা সংলাপ এর. যেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝিদের কষ্টের জীবনযাপন দেখে বলেছেন “ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না”
এমন কথার সুন্দর জবাব দিয়েছেন লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন পবিত্র আল কুরআনের বাণী দিয়ে ও নবী সা: এর জীবন দিয়ে.পরের গল্পেই তিনি সৃষ্টি জগতের জীবন রহস্য নিয়ে লিখেছেন. মেসেজ দিতে চেয়েছেন আল্লাহ আমাদের সব কিছু দিয়েই পরীক্ষা করেন.
বই এর একটা জায়গায় উনি আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়েও সুন্দর আলোচনা করেছে যা আমাদের প্রত্যেকের জানা খুব দরকার.
আমাদের মাঝে মন্তব্য (comment) করার যে প্রবণতা রয়েছে তার দুইটা দিক , একটা হলো আমরা সবাই আঘাত দিয়ে মন্তব্য করি যা অন্যের জন্য কষ্ট দায়ক যা ইসলামে মানা করা আছে. তীরের আঘাতের চেয়েও যে কথা আঘাত তীব্র তা উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন. বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের এই ছোট জীবন কতটা ক্ষণস্থায়ী।

-মো. নাহিদুল ইসলাম।

বই পর্যালোচনা

আপডেট সময় : ১২:১৮:৩১ এএম, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

বই পর্যালোচনা
বই : হায়াতের দিন ফুরোলে
বিষয়: ইসলামী সাহিত্য

এটা আমার আরিফ আজাদ ভাই এর পড়া নবম বই. এটা উনার “জীবনের জাগরণ ” সিরিজ এর অন্তর্ভুক্ত একটা বই যার পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৮৪ টি. এর মাঝে রয়েছে ১৭ টি গল্প, এগুলো ঠিক গল্প বলা হয় কি না আমি জানি না, তবে আমিই গল্পই বলি. প্রত্যেকটা গল্পেই লেখক একাধিক মেসেজ দিতে চেয়েছেন পাঠকদের. উনার গতানুগতিক যে লেখার ধরন সেটা এখানেও বিদ্যমান. বইটার ঘটনাগুলো এমন করে লেখা হয়েছে যে পাঠক এর মনে হবে লেখাটা একান্তই তাকেই লেখা হয়েছে. ইসলাম যে সহজ সরল সুন্দর এবং বৈষম্যহীন একটা ধর্ম এটা উনার লেখাতে মাধ্যমে সুন্দর প্রকাশ পেয়েছে.বই এর প্রথমেই লেখক যে গল্প বা প্রশ্নোত্তর নিয়ে এসেছেন সেটা আপনাদের অনেকের প্রিয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাস এর একটা সংলাপ এর. যেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝিদের কষ্টের জীবনযাপন দেখে বলেছেন “ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না”
এমন কথার সুন্দর জবাব দিয়েছেন লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন পবিত্র আল কুরআনের বাণী দিয়ে ও নবী সা: এর জীবন দিয়ে.পরের গল্পেই তিনি সৃষ্টি জগতের জীবন রহস্য নিয়ে লিখেছেন. মেসেজ দিতে চেয়েছেন আল্লাহ আমাদের সব কিছু দিয়েই পরীক্ষা করেন.
বই এর একটা জায়গায় উনি আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়েও সুন্দর আলোচনা করেছে যা আমাদের প্রত্যেকের জানা খুব দরকার.
আমাদের মাঝে মন্তব্য (comment) করার যে প্রবণতা রয়েছে তার দুইটা দিক , একটা হলো আমরা সবাই আঘাত দিয়ে মন্তব্য করি যা অন্যের জন্য কষ্ট দায়ক যা ইসলামে মানা করা আছে. তীরের আঘাতের চেয়েও যে কথা আঘাত তীব্র তা উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন. বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের এই ছোট জীবন কতটা ক্ষণস্থায়ী।

-মো. নাহিদুল ইসলাম।