ঢাকা ১২:৫৮ পিএম, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবি নূরুল ইসলাম নূরচান’র দুটি বই আলোচনা

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:২২ পিএম, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১০৮৫

নূরুল ইসলাম নূরচান একাধারে সাংবাদিক, গল্পকার, উপন্যাসিক ও কবি। নি:সন্দেহে বহু প্রতিভার অধিকারী সে। তার লেখায় ফুটে উঠেছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রেম-ভালোবাসা, মিলন-বিরহ, অনিয়ম, অন্যায়-অত্যাচার, স্বপ্ন, ইচ্ছে আকাংখার প্রতিফলন ঘটেছে তার গল্প, উপন্যাস ও কবিতায়।

মোট কথা, তীক্ষ্ম ধার লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে পথ দেখিয়েছেন তিনি । তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘অবশেষে’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘বাইশে মাঘ’ পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

কবিতার দিক বিচার বিবেচনায় যদিও ছন্দ ও ব্যাকরণগত কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত অথাপি তার কবিতাগুলো বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে চরম বাস্তবতার স্বাক্ষর রাখে। যেমন, ‘আমার ঘর’ কবিতাটিতে ‘কালবৈশাখী তুমি এসো না আমার ঘরে, তোমার ভয়ে আমার অন্তর কাঁপে ডরে’। ‘বীর সন্তান কবিতায়, ‘দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে মুক্তিসেনা বীর, এনে দিলে মাতৃভুমি লাল সবুজের নীড়।’

‘অবসর’ নামের অপর একটি কবিতায় কবি মানুষের কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে তার নিজ জন্মস্থানের খবর পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন সুন্দরভাবে।

কর্মজীবনের একেবারে শেষ মুহূর্তে সাদা কাপড়ের কাফন পড়ে জন্মভূমিতে আসে। কবিতার শিরোনাম ‘বাধা।’

এ কবিতায় তিনি বলেছেন, ‘কষ্টের জন্য আমার কষ্ট হয়’ যা দিয়ে কবির দু:খী মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। অধিকার নিয়ে কবি বলেছেন, ‘এসেছি একা ধরণীর বুকে, আবার একা যেতে হবে, ভয় করি না বুলেট বোমা, নেই আজ তোদের ক্ষমা।’

কবির গভীর মানসিক অবলোকনে আরো ধরা পরে, “কলমের কান্না কেউ শোনে না, অথচ সে প্রতিনিয়তই কাঁদে।’ বর্তমানে সমাজে পবিত্র কলম দিয়ে ভাল কাজের চেয়ে মন্দ কাজই বেশি করে। আজকের দুনিয়ায় কলমের এ সদ্ব্যব্যবহার কবির ভাবনার কত গভীরতা তা প্রকাশ পায়।

কবি ও সাহিত্যিক : নূরুল ইসলাম নূরচান

 

৬৪ পৃষ্ঠার কবিতার বই ‘অবশেষে’ প্রকাশ করেছে প্রতিবিম্ব প্রকাশ। মানসম্মত প্রচ্ছদ ও ঝকঝকে ছাপা। আর ‘বাইশে মাঘ’ গল্প গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে রাতুলগ্রন্থ প্রকাশ। গল্পের বইটিরও পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। এটির প্রচ্ছদ ও ছাপার মান ভালো।

পরিশেষে কবি ও সাহিত্যিক নূরুল ইসলাম নূরচানের লেখালেখির সফলতা এবং বই দুটির বহুল প্রচার কামনা করছি।

–কবি মিলন বাশার।

কবি নূরুল ইসলাম নূরচান’র দুটি বই আলোচনা

আপডেট সময় : ০৯:১২:২২ পিএম, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

নূরুল ইসলাম নূরচান একাধারে সাংবাদিক, গল্পকার, উপন্যাসিক ও কবি। নি:সন্দেহে বহু প্রতিভার অধিকারী সে। তার লেখায় ফুটে উঠেছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রেম-ভালোবাসা, মিলন-বিরহ, অনিয়ম, অন্যায়-অত্যাচার, স্বপ্ন, ইচ্ছে আকাংখার প্রতিফলন ঘটেছে তার গল্প, উপন্যাস ও কবিতায়।

মোট কথা, তীক্ষ্ম ধার লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে পথ দেখিয়েছেন তিনি । তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘অবশেষে’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘বাইশে মাঘ’ পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

কবিতার দিক বিচার বিবেচনায় যদিও ছন্দ ও ব্যাকরণগত কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত অথাপি তার কবিতাগুলো বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে চরম বাস্তবতার স্বাক্ষর রাখে। যেমন, ‘আমার ঘর’ কবিতাটিতে ‘কালবৈশাখী তুমি এসো না আমার ঘরে, তোমার ভয়ে আমার অন্তর কাঁপে ডরে’। ‘বীর সন্তান কবিতায়, ‘দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে মুক্তিসেনা বীর, এনে দিলে মাতৃভুমি লাল সবুজের নীড়।’

‘অবসর’ নামের অপর একটি কবিতায় কবি মানুষের কর্মজীবনের ব্যস্ততার কারণে তার নিজ জন্মস্থানের খবর পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন সুন্দরভাবে।

কর্মজীবনের একেবারে শেষ মুহূর্তে সাদা কাপড়ের কাফন পড়ে জন্মভূমিতে আসে। কবিতার শিরোনাম ‘বাধা।’

এ কবিতায় তিনি বলেছেন, ‘কষ্টের জন্য আমার কষ্ট হয়’ যা দিয়ে কবির দু:খী মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। অধিকার নিয়ে কবি বলেছেন, ‘এসেছি একা ধরণীর বুকে, আবার একা যেতে হবে, ভয় করি না বুলেট বোমা, নেই আজ তোদের ক্ষমা।’

কবির গভীর মানসিক অবলোকনে আরো ধরা পরে, “কলমের কান্না কেউ শোনে না, অথচ সে প্রতিনিয়তই কাঁদে।’ বর্তমানে সমাজে পবিত্র কলম দিয়ে ভাল কাজের চেয়ে মন্দ কাজই বেশি করে। আজকের দুনিয়ায় কলমের এ সদ্ব্যব্যবহার কবির ভাবনার কত গভীরতা তা প্রকাশ পায়।

কবি ও সাহিত্যিক : নূরুল ইসলাম নূরচান

 

৬৪ পৃষ্ঠার কবিতার বই ‘অবশেষে’ প্রকাশ করেছে প্রতিবিম্ব প্রকাশ। মানসম্মত প্রচ্ছদ ও ঝকঝকে ছাপা। আর ‘বাইশে মাঘ’ গল্প গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে রাতুলগ্রন্থ প্রকাশ। গল্পের বইটিরও পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। এটির প্রচ্ছদ ও ছাপার মান ভালো।

পরিশেষে কবি ও সাহিত্যিক নূরুল ইসলাম নূরচানের লেখালেখির সফলতা এবং বই দুটির বহুল প্রচার কামনা করছি।

–কবি মিলন বাশার।